Message From President

Prof. Jahangir Chowdhury

L.L.B (Hon’s), L.L.M(DU)

President

Chittagong Diabetic Association

 

চট্টগ্রামবাসীর বহুল প্রত্যাশিত ঢাকার বারডেমের ন্যায় চট্টগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ ডায়াবেটিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।অত্র হাসপাতালে জটিল ডায়াবেটিক রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা প্রদানের জন্য এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সহ অপারেশন থিয়েটার চালু এবং ডায়াগনষ্টিক বিভাগে রক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য উন্নত ব্লাড এনালাইজার মেশিন সংযোজন করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ডায়াবেটিক রোগীরা যাতে চট্টগ্রামের বাইরে তথা ঢাকা সহ দেশের বাইরে যেতে না হয়, সেইজন্য অত্র হাসপাতালকে বৃহদাকারে প্রতিষ্ঠার আগ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

প্রচলিত আছে  “ডায়াবেটিক হলো সর্ব রোগের জননী”। একজন ডায়াবেটিক রোগী হৃদরোগ, যক্ষা, প্যারালাইসিস , অন্ধত্ব, গ্যাংগ্রীন (পায়ের পচন) রক্তচাপ বৃদ্ধি, কিডনীর রোগসহ অনেক জটিলতায় আক্রান্ত হতে পারে। যেহেতু ডায়াবেটিস একজন ব্যক্তিকে কর্মহীন বা অক্ষম করে তুলে আর অক্ষম ব্যক্তি অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিবন্ধক ও সমাজের বোঝা স্বরূপ, সেহেতু জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতির স্বার্থেই জনগণের কর্মক্ষমতাকে সচল রাখতে এইডস ও ক্যানসারের ন্যায় মারাত্মক এই ডায়াবেটিস রোগের সুচিকিৎসার পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা থাকা জরুরী। বাংলাদেশে আমাদের জরীপ মতে প্রায় ৮৪ লক্ষ লোকই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তন্মধ্যে শুধুমাত্র বৃহত্তর চট্টগ্রামে ……………… লক্ষ লোক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং এর উল্লেখযোগ্য অংশ দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিপুল সংখ্যক ডায়াবেটিস রোগীকে এই অভিশপ্ত ব্যাধির করাল গ্রাস হতে মুক্ত করে সমাজের স্বাভাবিক ও কর্মক্ষম ব্যক্তি হিসাবে জীবন যাপনের সুযোগ প্রদানের সার্বিক প্রচেষ্ঠা অত্র সমিতি চালিয়ে যাচেছ এবং এ সমিতি হতে চিকিৎসা সুবিধা গ্রহণ করে বহু পরিবারের উপার্জনশীল ব্যক্তি ডায়াবেটিস রোগের দ্বারা হারানো কর্মক্ষমতা ফিরে পাওয়ায় পরিবারের ভরণ পোষণের দায়িত্ব পালনে সক্ষমতা অর্জন করে কর্মক্ষম ও আর্তনির্ভরশীল নাগরিক হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করছে।

চট্টগ্রাম শহর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল খাগড়াছড়ি, বাব্দরবন, রাঙ্গামাটিসহ বিশাল এলাকা চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির অর্ন্তভূক্ত। এ বিশাল এলাকার একমাত্র ডায়াবেটিক কেন্দ্র হিসাবে হাজার হাজার ডায়াবেটিস রোগীদেরকে এ সমিতি দীর্ঘ দুই যুগ ধরে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে।এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানের অগণিত ডায়াবেটিস রোগী যারা ব্যবসা, চাকুরী উপলক্ষে চট্টগ্রামে বসবাস করছেন তারাও এ কেন্দ্র থেকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা লাভ করছেন।

গত ৩৭টি বৎসর যাবৎ চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতাল নিরলসভাবে ধনী, গরীব এবং সমাজের সর্বস্তরের জনগণের সেবা সামর্থ্য অনুযায়ী পরিপূর্ণভাবে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু ঠিক পরিপূর্ণভাবে সমস্ত ডায়াবেটিক জটিলতার সেবা বা সমাধান দিতে পারছিলাম না। কারণ আমাদের সকল বিভাগ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অপ্রতুলতার কারণে। কিন্তু এখন আমরা আর নবজাতক নই।আমরা এখন পরিপূর্ণ মানুষ। আমরা হাঁটতে শিখেছি। আমাদের হাসপাতাল এখন পরিপূর্ণ হাসপাতাল। অর্থাৎ চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতাল ২০১২ সাল হতে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়।এখন থেকে একজন ডায়াবেটিক রোগীকেও চট্টগ্রামের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না।

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল আউটডোর এবং ইনডোর দুভাগে ডায়াবেটিক ও নন ডায়াবেটিক রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ডায়াবেটিক চিকিৎসার পাশাপাশি বর্হিবিভাগে বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। যেমন: ডায়াবেটিস থাইরয়েড ও হরমোন রোগ ১. মেডিসিন ২. গাইনী ৩. চক্ষু ৪. হৃদরোগ ৫. খাদ্য ও পুষ্টি  ৬. কিডনী রোগ ৭. ফ্রি শিশু ডায়াবেটিক ক্লিনিক ৮. অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার ৯. জেনারেল ও অর্থোপেডিক সার্জারী ১০. চক্ষু সার্জারী ১১. দন্ত ১২. ফুট (পা) কেয়ার ১৩. শিশু রোগ ১৪. চর্ম, যৌন ও এলার্জি ১৫. ভ্যাকসিনেশন ১৬. সমাজকল্যাণ ১৭. অত্যাধুনিক ডায়াগনষ্টিক ল্যাব ১৮. এক্সরে ও ইসিজি ১৯. ইকোকার্ডিওগ্রাফী ২০. আল্ট্রাসনোগ্রাম ২২. ফিজিওথেরাপী ২৩. CCU, ICU, HDU ২৪. One Day Service  ২৫. এক্সিকিউটিভ চেক-আপ  ২৬. তথ্য ও শিক্ষা কার্যক্রম  ২৭. ফার্মেসী -দিবারাত্রি  ২৮. জীবন সদস্যদের সেবা বিভাগ ২৯. মায়ের ঘর  ৩০. চশমা ঘর   ৩২. এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ৩৩. শুক্রবার আউটডোর খোলা  ৩৪. স্বাস্থ্যবান্ধব ক্যাফেটেরিয়া।